জুমার নামাজ কাজা হলে মুসাফির জোহর কত রাকাত পড়বে?

জুমার নামাজ কাজা হলে মুসাফির জোহর কত রাকাত পড়বে?

কেউ তিনদিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। আর সফরে গেলে কসর নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)।

মুসাফির ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ ফরজ না। তবে তাকে জোহরের কসর করতে হবে। অর্থাৎ জোহরের চার রাকাতের পরিবর্তে দুই রাকাত পড়তে হবে। তবে মুসাফিরের জন্য জুমার নামাজ আবশ্যক নয়। তবে যদি সফরের ক্লান্তি, যানবাহনের সমস্যা বা এজাতীয় কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে যথাসম্ভব জুমার নামাজে শরীক থাকতে চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে তার জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই।

বরং সাধারণ মুসল্লিদের মতো তিনিও দুই রাকাত পড়বেন। আর জুমার আগে পরের সুন্নতগুলো যদি সম্ভব হয় তাহলে আদায় করবে আর সম্ভব না হলে না পড়ারও অবকাশ আছে।। (আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৪৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৮৮; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৪৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৭৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৫)

তবে সফর অবস্থায় মুসাফির ব্যক্তি যদি কোনো কারণে জুমার নামাজে শরিক হতে না পারে, তাহলে পরবর্তীতে কাজার করার সময় তাকে জোহরের দুই রাকাত পড়তে হবে। (ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া : ২/৫৯০, হেদায়া : ১/৩৬১)

 

আপনি আরও পড়তে পারেন